শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
বেনাপোল (যশোর): নতুন সড়ক আইন ২০১৮ সংশোধনসহ দশ দফা দাবিতে যশোরের ১৮ রুটে দু’দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দরেও আমদানি পণ্য পরিবহন ও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বন্দরে আটকা পড়েছেন পরিবহন যাত্রীরা, খালাস হচ্ছে না শিল্পকারখানার কাঁচামালও।
হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেনাপোলে আটকা পড়েছেন ভারতফেরত কয়েকশ’ যাত্রী। এতে তারা দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন।
পরিবহন যাত্রী শিমলা আক্তার জানান, আমাদের কষ্ট হলেও সরকারের করা আইন বাস্তবায়ন চাই। যাত্রীদের জিম্মি করে চালকদের বাস চলানো বন্ধ রাখার নিন্দাও জানান তিনি।
তবে যাত্রীদের জরুরি প্রয়োজনে বিকল্প যানবাহন হিসেবে ইজিবাইক, নছিমন, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
ট্রাকচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা শ্রমিকরা কাউকে ইচ্ছা করে হত্যা করি না, অনিচ্ছাকৃতভাবে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। কিন্তু নতুন সড়ক পরিবহন আইনে আমাদের ঘাতক বলা হচ্ছে। আমাদের জন্য এমন আইন করা হয়েছে যা সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এ আইন পরিবর্তন না করা পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর থেকে কোনো পণ্য বা যাত্রীবহন করবেন না বলেও জানান শ্রমিকরা।
জানা যায়, সড়ক আইন ২০১৮ সংশোধনসহ দশ দফা দাবিতে রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে যশোর অঞ্চলের ১৮ রুটে স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি শুরু করেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। সোমবার বেলা ১১টার দিকেও বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা কয়েকটি পরিবহন আটকে দেন শ্রমিক ও শ্রমিক নেতারা। বৈধ কাগজপত্রের চালকরা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামতে চাইলেও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ওইসব গাড়ির চালকদের দাবি, শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের মাঠে নামিয়ে জিম্মি করছেন। এজন্য বৈধ কাগজপত্র থাকলেও অনেক চালক নামতে পারছে না।